সাংবাদিক রোজিনা নিশ্চয়ই বীরের বেশে বেরিয়ে এসে আবারো নির্ভিকভাবে ঝড় তুলবেন কি-বোর্ডে, একের পর এক চোখা সব প্রতিবেদনে উন্মোচন করবেন দুর্নীতিবাজদের মাস্কের আড়ালের কুৎসিত মুখ। পেশাগত কারণে দেশজুড়ে তিনি যেমন অনেক সহকর্মী-শুভানুধ্যায়ী ও পাঠককে বন্ধু হিসেবে পাশে পাচ্ছেন, তেমনি শত্রুও তো কম তৈরি করেননি। এ ঘটনায় রাষ্ট্র যেন “ঝিকে মেরে বৌকে শিক্ষা” দেওয়ার পন্থাই নিল, যে গণমাধ্যম আসলে গণতন্ত্রেরই নাকি পঞ্চম স্তম্ভ! নতুন করে আবারো মনে পড়ছে, সম্প্রতি পুলিশ হেফাজতে নিহত লেখক মুশতাক আহমেদের কথা। ব্যাঙ্গচিত্র আঁকার অভিযোগে কিছুদিন আগেই কার্টুনিস্ট কিশোর অপহরণ, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন হওয়ার কথা। তারও কিছুদিন আগে নির্যাতনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে লেখক মুশতাক কারাবন্দী অবস্থায় মারা যান। ফেসবুকে লেখালেখির দায়ে তাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ রিমান্ডে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, হৃদরোগে মারা গেছেন তিনি। জামিনে মুক্ত কার্টুনিস্ট সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি যখন ডিবি পুলিশের রিমান্ডে ছিলেন, সেখানে রিমান্ডের আসামি লেখক মুশতাকের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। তখন সম্পূর্ণ উলঙ্গ মুশতাকের সারা শরীর ছিল মলমূত্র মাখানো। সে অবস্থাতেই সুযোগ বুঝে তিনি একফাঁকে কার্টুনিষ্ট কিশোরের কাছে এসে বলেছিলেন, “ভয় পাস ক্যান বেটা? আমরা কী অন্যায় কিছু করেছি?” ... ...
...তারা জুমিয়াদের বীজ, সার-কীটনাশক, কিছু নগদ অর্থও আগাম দেয়। আবার তামাক পাতা কেটে ধুয়ে শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাত করার উপযোগী করে তৈরি করলে কোম্পানির লোকেরাই এসে কিনে নিয়ে যায়। অর্থাৎ ফসল বাজারজাত করার ঝামেলা নাই। বেচাকেনায় লোকসানেরও ভয় নাই।.. ... ...
কবি, গণসংগীত শিল্পী কফিল আহমেদ যেমন বলেন, "আধুনিক কালের আধিপত্যের মুখে প্রাকৃতজনের জীবনের অনেক গভীর সত্যই যে আজ তছনছ হয়ে গেছে। এতো কিছু হারাবার কালে মধুপুরের চুনিয়া গ্রামের একশত বিশ/বাইশ বছর বয়সী জনিক নকরেক আচ্চু আজো তাঁর প্রাকৃত সাংসারেক জীবনধারায় অটল। প্রত্যয়ী। মধুপুরের চুনিয়া গ্রামের এই প্রবীন কিংবদন্তির বিশ্বাস আর মূল্যবোধকে নিয়ে চলচ্চিত্রভাষ্য 'গিত্তাল মি আচ্ছিয়া '।" ... ...
বাংলাদেশের কুইয়ার সম্প্রদায় দেশের অন্যান্য প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোণঠাসা; নানা সামাজিক আর আইনী বাধাবিপত্তির মধ্যেই তাদেরকে জীবনধারণ করতে হয়। দেশে এমন কোন আইন বর্তমানে নেই যা এই সম্প্রদায়ের মানুষজনকে সামাজিক বিদ্বেষ-ঘৃণা আর নানা হয়রানির থেকে সুরক্ষা দেয়; উল্টো, যে আইনগুলো আছে সেগুলো এই সম্প্রদায়ের মানুষজনের সুরক্ষার শেষ সম্ভাবনাটুকুকেও নষ্ট করে। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কুইয়ার মানুষদের অনলাইন নিরাপত্তাহীনতার মাত্রা আরো বাড়িয়ে তোলে। এমনিতেই তাদের ডিজিটাল জীবন অত্যন্ত গোপনীয় এবং সংকুচিত; এর মধ্যে থেকেই তারা এতদিন ধরে কুইয়ার অধিকারের যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, এই আইন তার পথকেও রুদ্ধ করে দেয়। ... ...
...পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, নাস্তিকতার অভিযোগ এনে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্যরা, অর্থাৎ এ মামলার অভিযুক্তরাসহ মূল হামলাকারীরা সাংগঠনিকভাবে অভিজিতকে নৃশংসভাবে হত্যা করে । স্বাধীনভাবে লেখালেখি ও মত প্রকাশের জন্য তাকে নিজের জীবন দিয়ে মূল্য দিতে হয়। অভিজিতকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল, মত প্রকাশের স্বাধীনতার পথ রুদ্ধ করা। আর সে কারণে এ মামলার আসামিরা কোনো সহানুভূতি পেতে পারে না।... ... ...
কামিং আউট ব্যাপারটি কুইয়ার জনগোষ্ঠীর আন্দোলনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, কামিং আউট এবং এর পরিণাম যে বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক স্তরে একেক রকমের সে বিষয়টি কতটুকু ভেবে দেখা হয়েছে? খোদ কুইয়ার সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেই যখন আমরা এই বিষয়টি নিয়ে মতপার্থক্য দেখতে পাই, সেখানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কামিং আউটের যে অনেকরকম অর্থ দাঁড়াতে পারে সেগুলো ঠিক কী কী? বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক আবহাওয়ায় কামিং আউট করাই কি আমাদের আকাঙ্খিত লক্ষ্য? এই আর্টিকেলটিতে প্রাথমিক কতগুলো ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন লিঙ্গ ও যৌন, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থানের কুইয়ার জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে ফোনে এবং ইমেইলে মোট ২৩ জন ব্যক্তির ইন্টারভিউ নিয়ে কামিং আউটের রাজনৈতিক বাস্তবতায় তাদের চিন্তাভাবনা ঠিক কী সেটি বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। কোন মানুষটির কাম আউট করা উচিত আর কার নয় এ বিষয়ে আমরা কোন পরামর্শ বা মতামত দেয়ার জায়গায় নেই; আমরা কেবল একটি বিষয়ই স্পষ্ট করতে চাই যে, কামিং আউট ফলস্বরূপ কুইয়ার কোন মানুষের প্রতি সামাজিক যে বিদ্বেষ, লাঞ্ছনা আর বৈষম্যের আবির্ভাব ঘটে, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবে নেই। ... ...
...অথচ শুরু থেকেই এটি অপহরণের ঘটনা হিসেবে আমলে নিয়ে তদন্ত করলে হয়তো কিশোরী পাহাড়ি মেয়ে লাকিংমের সন্ধান পাওয়া যেত, অপহরণের পর ১১ মাস ধরে মেয়েটিকে কিভাবে কোথায় কোথায় রাখা হয়েছে, কিভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে তার ধর্ম, ভূয়া জন্ম সনদে কিভাবে বাল্যবিবাহে বাধ্য করা হয়েছে সবই বেরিয়ে আসতো। হতভাগ্য মেয়েটিকেও হয়তো এভাবে জীবন দিতে হতো না। সবচেয়ে বড়কথা, ১২ দিন আগে সন্তানের জন্ম দিয়েই একটি মেয়ে তুচ্ছ পারিবারিক কলহের জেরে বিষপানে আত্মহত্যা করবে, বিষয়টি মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়! ... ... ...
কবি চন্দ্রাবতী প্রাচীন ও মধ্যযুগে বাংলার প্রথম নারী কবি। প্রবাদ ও বচনের ক্ষেত্রে আমরা খনার নাম জানি। কবি হিসেবে চন্ডীদাসের দয়িতা রামীর নাম শোনা গেলেও তার সাহিত্যকীর্তির পরিচয় অপ্রতুল। এসব বিবেচনায় বাংলার প্রাচীন ও মধ্যযুগের বিস্তৃত সময়ে ‘একমাত্র নারী কবি’ হিসেবে চন্দ্রাবতীই স্বীকৃত। ... ...
শেষ বিকেলের রোদে আমরা পৌঁছাই রূপকারী গ্রামে। সেখানে রূপালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের এক কোনে মঞ্চ নির্মাণ করে পিসিপি শোকসভার আয়োজন করেছে। মঞ্চের পেছনে সদ্য নির্মিত চারটি কালো রঙের স্মৃতিস্তম্ভ মনে করিয়ে দেয় কল্পনা চাকমাকে উদ্ধারের দাবিতে চারজন তরুনের জীবনদানের কথা। শোকসভাকে ঘিরে কয়েকটি গ্রামের আদিবাসী নারী-পুরুষ-শিশু ভীড় জমান। পুরো স্কুল মাঠ যখন কানায় কানায় পূর্ণ, তখন মঞ্চে উঠে কল্পনা চাকমাকে নিয়ে লেখা গান ধরেন স্কুল শিক্ষক ব্রহ্মকুমার (লালফা) চাকমা। এবার সমবেশে ওঠে শব্দহীন কান্নার রোল। মঞ্চে পিসিপির ছেলেমেয়েরা বক্তৃতা দিতে গিয়ে বার বার খেই হারিয়ে ফেলেন, কান্নায় তাদের গলা বুজে আসতে চায়।... ... ...
আজও প্রতি রাতে মা ঢাকায় যান। ভোরবেলা ঘুম ভাঙে তাঁতিবাজরের পয়ঁতাল্লিশ নম্বর বাড়িতে। তারপর বেলা বাড়লে তিরাশি বছরের বালিকাটি যান বাংলাবাজার গার্লস স্কুল। মধ্যাহ্নে ইডেন কলেজ। সন্ধ্যাবেলা আরতির ঘন্টা বাজে রাধানাথ জিউর মন্দিরে, দূরের শাঁখারি পাড়া থেকে ভেসে আসে শঙ্খধ্বনি। আমি হাঁটতে থাকি বুড়িগঙ্গার পাড় ধরে। চলে যাই সিংহল সমুদ্র পেরিয়ে, কাশ্মীর উপত্যকা ভেদ করে, সিরিয়ার ঊষর স্থলভূমির দিকে, পৃথিবীর অগণন শরণার্থী শিবিরের অভিমুখে। ... ...
হাজংদের ‘প্যাঁক খেলার’ মতো কক্সবাজার-পটুয়াখালির রাখাইনদের রয়েছে আরেক ঐতিহ্যবাহী পানি-খেলা উৎসব-- সাংগ্রেং। পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমারাও পানি খেলার আয়োজন করেন, তারা একে বলেন-- সাংগ্রেই পোয়ে। সেটি অবশ্য বর্ষ বিদায় ও বর্ষ বরণের ভিন্ন এক উৎসব। আর বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলে বসবাসকারী গারো বা মান্দি জাতিগোষ্ঠীর রয়েছে বীজ বপনের উৎসব ‘রঞ্চুগালা’ ও নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’। আর চাকমাদের বর্ষ বরণ ও বর্ষ বিদায় উৎসবের নাম ‘বিঝু’। ত্রিপুরারা তাদের চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবকে বলেন ‘বৈসুক’। সাঁওতাল আদিবাসীর রয়েছে নবান্ন উৎসব ‘সোহরাই বাহা’ ও বৃক্ষ বন্দনা ‘কারাম’ উৎসবের ঐতিহ্য। ... ...
টিকটিকি দেখলো। মেয়েটা ল্যাপটপের সামনে।ওর দিকে তাকাচ্ছে না একবারও। অভিমান হল টিকটিকির।মানুষ বড় স্বার্থপর। ভেবে নিল। ডে ওয়ান। সকাল। উওলগ্যাংগ প্যাটেরসনের ছবি। আউটব্রেক। মেডিক্যাল থ্রিলার। জাস্টিন হফম্যান। মর্গান ফ্রিম্যান। রেঁনে রুশো। ইবোলার ধরনের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে আফ্রিকার কোনো অন্চলে আর তারপর ইউ এস এর একটি ছোটো শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সেটা। উনিশশো পঁচানব্বুই। ... ...
ইটারসি থেকে দলটা একটু ছোট হয়েছে। ভাগ হয়েছে। প্রায় কুড়ি জনের একটা দল চলে গেছে দক্ষিণের দিকে। সুখনলালরা এখন আটজন। আটজন চলেছে নাগপুর স্টেশনের দিকে।দুই পায়ে দপদপে ব্যথা। দিনে নয়ঘন্টা হাঁটছে এখন ওরা। ভোর তিনটের সময় চলা শুরু। দিনে পঁয়তাল্লিশ কিলোমিটার হাঁটতেই হবে। বাড়ি যেতে হবে। বাড়ি। এক একেক দিন পেটে ব্যথা ওঠে। এত ব্যথা করে যে পেটে গামছা বেঁধে শুয়ে পড়ে। সুখনলালের একদিন খুব ব্যথা উঠেছিল। মনে হয়েছিল আর বাঁচবে না। ... ...
আমি বা আমরা এখন এমন একটা সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি,যে যখন ব্যক্তি মানুষের স্বতন্ত্রতা প্রায় নেই , সে এখন এক বিপুল জনগোষ্ঠীর অংশমাত্র। মানুষ একেবারেই তার পূর্বপুরুষের মতোএকে অপরকে অনুকরণ করে , তাদের রাগ ঘৃণা বা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ একইরখম । এই পৌনঃপুনিকতা থেকে একজন কবি বা শিল্পীও বিযুক্ত নন। ... ...
পাউরুটি আমি ভালবাসি। না বেসে থাকা যায়? যার অমন নরম তুলতুলে গা! কিন্তু মুশকিল হল পাউরুটি আমায় মোটে পছন্দ করে না। টিভিতে দেখায় না, বড় ডাইনিং টেবিলে বসে পাউরুটি, মাখন, ডিম আর ফলের রস (থুড়ি, ব্রেড, বাটার, এগ, ফ্রুট জুস) সহযোগে জলখাবার (থুড়ি ব্রেকফাস্ট) খাচ্ছে, আর তারপরই অফিস যাচ্ছে পেল্লাই গাড়ি করে, অমনটা আমারও খুব শখ। তাহলেই মনে হয় যেন স্পোকেন ইংলিশটা শিখে যাব। আটার রুটি আর আলু-কুমড়োর ছেঁচকি খেয়ে বেরোলে মুখ দিয়ে 'নরঃ নরৌ নরাঃ' ছাড়া আর কিছু বেরোবে কেন? ... ...
অ্যারেস্ট করবেন না প্লিজ্ -- ধর্মতলার মোড়ে ডিম-ভাতে সেই স্বাদ নেই, আজ আর নেই। / কোথায় হারিয়ে গেল জ্বালাময়ী ভাষণের খেই, আজ আর নেই। / টিকটিক ব্যান তাই নায়িকা-টাইকা সব– নেই তার আজ কোনো খবরে, / ... ...
“…আমি পরিমান বা সংখ্যাকে প্রাধান্য দেই না। যেমন, বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের সংখ্যা মাত্র কয়েকটা, কিন্তু সুনীল গাঙ্গুলীর প্রায় চারশ’। অথচ বাংলা সাহিত্যে বঙ্কিমবাবুকে কেউ অতিক্রম করতে পেরেছেন? লেখকের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে মেধাবী রচনা লেখা। লেখকের যদি লেখার প্রতি কমিটমেন্ট না থাকে”… বিশিষ্ট লেখক, চিন্তক আহমদ ছফা, নয়ের দশকের আলাপচারিতায় ... ...
স্টোনওয়ালের একান্ন বছর পূর্তি নিয়ে এই লেখা। তথাকথিতভাবে সংস্কৃতি রক্ষা করার জন্য যখন মানুষকে হেনস্থা করার আইন তৈরী হয়, সেগুলো কীভাবে পুলিশি যথেচ্ছাচারের সুযোগ দেয়, এবং তা মানুষের পক্ষে কতখানি ক্ষতিকর হয় তার উদাহরণ আমরা দেখব। এবং মানুষ কীভাবে তার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে সেটাও দেখব। ... ...
...লোকালয় বিচ্ছিন্ন বান্দরবানের পাহাড়ের রুমার দূর বগালেকের পাড়ের রেস্ট হাউজ, কাম মাচাং ঘরটি প্রাচীন কোনো গুহা বলে ভ্রম হয়। যেন পথহারা দুই পর্বত অভিযাত্রী অবিরাম পরিকল্পনা করে চলেছেন উদ্ধারের আশায়। বুনো পাখির ঝাঁক প্রাতরাশ সারতে বেরিয়ে তীব্র চিৎকারে ডাকে বার বার। দ্বিপক্ষীয় আলোচনা বা দ্রব্যগুনের প্রলাপে ছেদ পড়ে।... ... ...